সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সাদাস্রাবের আরেক নাম হচ্ছে লিউকোরিয়া।প্রতিটি নারীরই সাদাস্রাব হয়ে থাকে। সাদাস্রাব শারীরবৃত্তীয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং তা হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। একেক জনের ক্ষেত্রে সাদাস্রাবের পরিমাণ একেক রকম হয়ে থাকে।তবে অনেকের আবার অতিরিক্ত পরিমাণেও হয় এবং তারা  সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় তা সম্পর্কে জানতে চায়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করবো। কাজেই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।  

অতিরিক্ত-সাদাস্রাব-হওয়ার-কারণ
তাছাড়া আরো আলোচনা করব - অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে কি হয়, অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে করণীয়, সাদাস্রাব হলে কি বাচ্চা হয়, সাদাস্রাব কি খেলে ভালো হয়, অবিবাহিত মেয়েদের সাদাস্রাব কেনো হয়, সাদাস্রাব হলে কি মাসিক হয় 
সাদাস্রাব না হওয়ার কারণ ইত্যাদি। 

আর্টিকেল সূচিপত্র - সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় সংশ্লিষ্ট সূচিপত্র 

সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় 

সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় তা নিয়ে পোস্টের শুরুতেই আলোচনা করব।  সাদাস্রাব নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাদাস্রাব ক্ষতিকর হবে কি না তা নির্ভর করে থাকে সাদাস্রাবের প্রকৃতি এবং লক্ষণের উপরে। স্বাভাবিক সাদাস্রাবের কতগুলো লক্ষণ রয়েছে যেমন - সাদাস্রাব মাসিকের আগে বা পরে ডিম্বাণু নি:সরণের আগে হয়, তা হয়ে থাকে আঠালো বা পানির মতো হালকা স্বচ্ছ, দূর্গন্ধহীন। স্বাভাবিক সাদাস্রাব যোনি পরিষ্কার রাখতে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। 

আবার যখন অস্বাভাবিক সাদাস্রাব দেখা যাবে তখনও কতগুলো পরিবর্তন হবে যেমন - যৌন মিলনের সময় তলপেটে ব্যাথা হবে, সাদাস্রাবের রং বাদামী, সাদা বা সবুজ হয়ে থাকবে। সাদাস্রাব অনেক বেশি পরিমাণে হবে এবং ঘন দইয়ের মতো আঠালো হবে। পচা মাছের মতো দূর্গন্ধযুক্ত হবে। যোনিতে জ্বালাপোড়া সহ চুলকানি হতে পারে। 

অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে মেয়েদের হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যা এবং অনিয়মিত পিরিয়ডও হতে পারে। যদি কোনো ব্যাক্তির গর্ভাবস্থায় সাদাস্রাব হয় তাহলে গর্ভের বাচ্চার অনেক সমস্যা হতে পারে। ইনফেকশন অনেক সময় ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। এমতাবস্থায় অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ গাইনোকলজিস্ট এর কাছে যাবেন, সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন, অতিরিক্ত টাইট কাপড় এড়িয়ে চলবেন। 

অতিরিক্ত সাদাস্রাব হওয়ার কারণ 

একটু আগে জানলেন সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয়। এবার জানাবো অতিরিক্ত সাদাস্রাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে। 
সাধারণত মেয়েদের সাদাস্রাব শুরু হয় প্রথম মাসিক হওয়ার দুই তিন মাস আগে থেকেই এবং তা মেনোপজ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত চলতে থাকে।এটি শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে অতিরিক্ত সাদাস্রাব হতে পারে অত্যন্ত ভয়াবহ। শরীরের এই বিশেষ সমস্যাটি যেসব কারণে হতে পারে সেগুলো হচ্ছে -
  • কৃমি জনিত সংক্রমণের জন্য সাদাস্রাব হতে পারে। আপনার পেটে যদি কৃমি বাসা বাধে তাহলে আপনি যতই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন না কেনো শরীরের কোনো কাজে আসবে না এবং সাদাস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • অপরিষ্কার কাপড় যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেন তাহলেও সাদাস্রাবের সমস্যা হতে পারে। 
  • অত্যাধিক পরিমানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • দীর্ঘদীন যাবত অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে এই সমস্যাটি হতে পারে। 
  • কাজের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে হতে পারে সাদাস্রাব। 
  • মনের সাথে শারীরিক স্বাস্থ্য এতপ্রোতভাবে জড়িত। আপনি যদি অত্যাধিক পরিমাণে মানসিক চাপে থাকেন তাহলে শরীরে এর প্রভাব পড়তে পারে। এতে করে আপনার সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হতে পারে সাদাস্রাব। 
  • ভ্যাজাইনাল বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের জন্য হতে পারে সাদাস্রাব। 
  • পিরিয়ডের সময় একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকেন তাহলেও হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে 
  • ইউটিআই হলে
  • জরায়ু ক্যান্সার 
  • মেনোপজের কারণে 
কম পরিমান সাদাস্রাব হওয়া কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হয় তখন যখন তা মাএাতিরিক্ত হয়ে যায়। তবে কয়েকটি ক্ষেএে স্বাভাবিকভাবেই সাদাস্রাব বেশি হয়। যেমন- অতিরিক্ত উওেজিত হলে, গর্ভাবস্থায়,জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণে, মাসিকের কয়েকদিন আগে। এসময় গুলো ব্যাতীত অন্যান্য সময় অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে কি হয়

অতিরিক্ত-সাদাস্রাব-হওয়ার-কারণ
একটু আগে জানলেন অতিরিক্ত সাদাস্রাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে। এই পর্যায়ে জানবেন অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে কি হয়। অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে কি হয় অর্থাৎ সাদাস্রাব হলে শরীরে কি কি লক্ষণ দেখা দেয়। 
  • জরায়ু থেকে বিভিন্ন রঙের দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হয়।
  • সবসময় মেজাজ খিটখিটে থাকে ও বিষন্নতা হতে পারে। 
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। 
  • যোনিদেশে অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানি হওয়া 
  • বমি বমি ভাব হতে পারে, আবার বমিও হতে পারে। 
  • শ্রোণিদেশ,কোমড় ও হাত পায়ে ব্যাথা হওয়া 
  • মাথা ঘোরানো এবং ক্ষুধার পরিমান কমে যাওয়া 
  • জ্বালা পোড়া করা 
  • প্রস্রাব বা সহবাসের সময় ব্যাথা হওয়া 
সুতরাং বলা যায় যে, সাদাস্রাব হলে উপরোক্ত লক্ষণগুলো শরীরে দেখা দিতে পারে। 

সাদাস্রাব হলে কি বাচ্চা হয় 

মেয়েদের শরীরের অন্যান্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মতো আরেকটি প্রক্রিয়া হচ্ছে সাদাস্রাব। অনেকেই জানতে চায় যে সাদাস্রাব হলে বাচ্চা হয় কি না। অতিরিক্ত অনিয়ন্ত্রিত সাদাস্রাব হলে সাধারণত বাচ্চা হয় না। অনেক সময় দেখা যায় যে সাদাস্রাব গর্ভধারণের ইঙ্গিতও হতে পারে। যেমন- ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর সাদাস্রাব দেখা দিলে তাতে প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, গর্ভধারণের পর মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরণের মাএা বেড়ে যাওয়ার কারণেও সাদাস্রাব হতে পারে। সুতরাং স্বাভাবিক সাদাস্রাব হলে বাচ্চা হয় তবে অস্বাভাবিক হলে বাচ্চা হবে না। 

সাদাস্রাব কি খেলে ভালো হয় 

এই পর্যায়ে জানবেন সাদাস্রাব কি খেলে ভালো হয়। মূলত সাদাস্রাবের সময় যেসব খাবার খাওয়া যাবে না সেগুলো হচ্ছে অতিরিক্ত মশলাযুক্ত এবং চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার। অপরিষ্কার অন্তবার্স পড়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত ঠান্ডাজাতীয় খাবারও খাওয়া যাবে না। ফাস্ট ফুড পরিহার করে চলতে হবে। সাদাস্রাবে যেসব খাবার খেলে আপনি অনেক আরাম পাবেন সেগুলো হচ্ছে - 
  • সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খান।কারণ এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। 
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকী গ্রহণ করতে পারেন। 
  • রোজ সকালে তুলসিপাতা খেতে পারেন। 
  • দুধ থেকে তৈরি দই খাবেন তাহলে তা ইনফেকশন প্রতিরোধে ভালো কাজ করবে। 
  • এক চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন, অনেক ভালো উপকার পাবেন। 
উপরোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করার পরও যদি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

অবিবাহিত মেয়েদের সাদাস্রাব কেনো হয় 

মেয়েদের সাদাস্রাব হওয়া একটি প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক বিষয়।অবিবাহিত মেয়েদের অনেক কারণে সাদাস্রাব হতে পারে চলুন তাহলে জেনে নেই -
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ অথবা কিছু কিছু খাবার গ্রহণের পর মেয়েদের সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • কোনো অবিবাহিত মেয়ে যদি শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে এবং মানসিকভাবে অনেক চাপে থাকে তাহলে তার সাদাস্রাব হতে পারে।  
  • কোনো মেয়ে কিশোরী অবস্থায় প্রজনন সক্ষমতায় পৌঁছালে সাদাস্রাব হয়। 
  • পিরিয়ড শুরুর আগে এবং পরে সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • হরমোনগত পরিবর্তনের কারণে সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • প্রাকৃতিক নিয়মে যোনি পরিষ্কারের জন্য সাদাস্রাব হতে পারে। 
সুতরাং উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য অবিবাহিত মেয়েদের সাদাস্রাব হয়। 

সাদাস্রাব হলে কি মাসিক হয় 

অনেকেই আবার জানতে চায় যে সাদাস্রাব হলে মাসিক হয় কি না। সাদাস্রাব ও মাসিক দুটি আলাদা প্রক্রিয়া হলেও দুটোই প্রজনন স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত।যদি স্বাভাবিক সাদাস্রাব হয় তাহলে মাসিক হবে আর যদি স্বাভাবিক সাদাস্রাব না হয় তাহলে মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত হতে পারে। যদি সাদাস্রাব হওয়ার কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

সাদাস্রাব না হওয়ার কারণ  

সাদাস্রাব না হওয়ার কারণ সম্পর্কে এখন আমরা জানবো - 
  • থাইরয়েড বা হরমোন জনিত সমস্যা থাকলে সাদাস্রাবে পরিবর্তন হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত পরিষ্কার করার কারণে যোনির স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এতে করে সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • কিছু কিছু ওষুধ যেমন - জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণ করলে সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • শরীরে পানির অভাব হলে বা কম পানি পান করার কারণে সাদাস্রাব হতে পারে। 
  • ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতির কারণে এবং মেনোপজ বা পেরিমেনোপজের কারণে সাদাস্রাব হতে পারে। 
সুতরাং বলা যায় যে, উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য সাদাস্রাব নাও হতে পারে। 

অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে করণীয় 

আপনার যদি অতিরিক্ত সাদাস্রাব দেখা দেয় তাহলে আপনি নিম্নোক্ত টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। 
অতিরিক্ত সাদাস্রাব দেখা দিলে তা নিয়ে কখনোই বসে থাকবেন না। অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। ডাক্তার আপনার নির্গত তরল পদার্থের ধরন শনাক্ত করে তাতে কোনো ধরনের জীবানু রয়েছে কিনা বা হোয়াইট ব্লাড সেলের সংখ্যা নির্ধারণ করে চিকিৎসা প্রদান করে থাকবেন। যদি হোয়াইট ব্লাড সেলের সংখ্যা দশ এর বেশি হয় তাহলে ডাক্তার ধরে নিবেন যে তার লিউকেমিয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করে থাকবেন। 

লিউকেমিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তাররা প্রধানত লাইফস্টাইলে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসার কথা বলেন। যদি তাতে বেশ কোনো কাজ না হয় তাহলে ওষুধ দিয়ে থাকেন। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে -
  • কোনো ধরনের পারফিউম যোনি এলাকায় ব্যবহার করা যাবে না। 
  • যোনিতে সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। কেননা তা ইনফেকশন  তৈরি করতে পারে। 
  • অন্তরঙ্গ টাইট হয়ে থাকে এমন পোশাক পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যোনিতে যতেষ্ট পরিমাণ বাতাস প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে। 
  • দীর্ঘ সময় ধরে ভেজা কোনো অন্তবার্স ব্যবহার না করা। 
  • সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। 
এই সমস্যার জন্য ডাক্তাররা এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এন্টিবায়োটিক খেলে অসুখটি সেরে যায়। আবার কখনো কখনো এন্টিফাংগাল ওষুধ বা হরমোনথেরাপিও দিয়ে থাকেন৷ 

সাদাস্রাব হলে ঘরোয়া কয়েকটি উপায় :

সাদাস্রাব হলে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চলে আপনি সমস্যাটি থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।চলুন তা দেখে নেই। 
অতিরিক্ত-সাদাস্রাব-হওয়ার-কারণ
  • বড় এলাচ, মিছরি এবং সমপরিমাণ ভুট্রা নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দৈনিক তিনবার করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত খান। একসপ্তাহ পর দৈনিক এক বার করে এক মাস খান। এটি আপনার খুবই উপকারে আসবে। 
  • সাদা ভরি বা মুসলি তিন গ্রাম সাথে তিন গ্রাম মিছরি নিয়ে গরম দুধের সাথে পান করুন। 
  • দুই থেকে তিন চামচ মধু নিয়ে তাতে এক চামচ আমলকী চূর্ণ মিশিয়ে এক মাস খান। 
  • একটি কাপে করে এক কাপ জল নিয়ে তাতে দশ গ্রাম পরিমাণ আদা গুড়ো মিশিয়ে খান। 
  • তুলসিপাতার রস এবং মধু একসাথে মিশিয়ে পান করুন। 
  • যদি আপনি রক্তস্বল্পতা রোগে ভোগে থাকেন তাহলে দৈনিক খেজুর, লতাপাতা, শাকসবজি এবং ফলমূল প্রচুর পরিমানে খান। 
  • জলের সাথে জিরা বাটা খান। প্রতিদিন কাঁচা টমেটোও খেতে পারেন। 
  • কলা ও দুধ একসাথে মিশিয়ে পান করুন। 
  • ডুমুর ফল সাদাস্রাবের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। আপনি ডুমুরকে রান্না করে সবজি হিসাবে খেতে পারেন আবার ডুমুর ভেজানো পানিও খেতে পারেন।   
  • এক লিটার পানিতে তিন চামচ পরিমান মেথি বীজ ভেজান এবং তা ছেঁকে সারাদিন পান করুন। 
  • একটি গ্লাসে ধনেপাতা ভিজিয়ে তা পান করুন খুব ভালো উপকার পাবেন। 
  • সাদাস্রাব নিরাময়ের খুব ভালো কাজ করে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। এটি এন্টিফাংগাল হিসেবে কাজ করে এবং যোনিপথের পিএইচডি বজায় রাখতেও ভালো ভূমিকা রাখেন। এজন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগারও খেতে পারেন এই সমস্যাটি অতিরিক্ত হলে। 
  • সাদাস্রাব ভালো করার আরেকটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতা একটি পাতিলে নিয়ে তাতে পানি দিয়ে সেই পানিকে ততক্ষণ পর্যন্ত ফোটান যতক্ষণ না পর্যন্ত পানি বেশিরভাগই কমে না যায়।এরপর ঠান্ডা করে দৈনিক একবার করে পান করুন। 
  • ডালিম ফলের রয়েছে অনেক উপকারী গুন। এই ফলটি যদি আপনি কাঁচা হিসেবে বা এর থেকে রস বের করে খেতে পারেন। 
  • সাদাস্রাবের সমস্যায় ইন্ডিয়ান গুজবেরি খুব ভালো কাজ করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ইন্ডিয়ান গুজবেরি খাওয়ার পূর্বে তা টুকরো টুকরো করে কেটে আগে রোদে শুকাতে হবে। তারপর তা পিষে গুড়ো করতে হবে। তারপর তা থেকে দুই চামচ গুঁড়ো নিয়ে তাতে পরিমাণমত মধু মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে খুব ভালো উপকার পাবেন। 
সুতরাং আপনার যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সাদাস্রাব হয় তাহলে উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন। 

লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সাদাস্রাব হলে কি ক্ষতি হয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সাদাস্রাব একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এই সমস্যাটি দেখা দিলে অবহেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। কেননা অনেক সময় ক্যান্সার হওয়ার পূর্ব লক্ষণও হতে পারে অস্বাভাবিক সাদাস্রাব।আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করো জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট My Teach Info। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

My Teach Info এরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url